আজ শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবারের মতো এবারও মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ঈদের জামাতে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জামায়াতে অংশ নেয়া মুসল্লিরা করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকার কোথাও ঈদগাহে জামাত হয়নি। মসজিদের যথাযথ নির্দেশনা মেনে সকালে ঈদের জামাত হয়েছে। নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি মুসলিম উম্মার শান্তি এবং করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দেশের প্রতিটি ঈদ জামাতেই করোনা থেকে বাঁচার বিশেষ দোয়া করা হয়। ইমাম সাহেবদের দোয়া পরিচালনার সময় মুসল্লিরা আমিন আমিন ধনি উচ্চারণ করেন। এ সময় অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি মসজিদে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল সাতটায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাআতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন একই মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।
নামাজ আদায়ের পর মুসলিম উম্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি বৈশ্বিক করোনা মহামারি থেকে মুক্তি লাভের জন্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান এবং করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের সব মানুষের জন্য দোয়া করেন।
এরপর একই মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টার জামাতেও করোনা থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। এছাড়া দোয়া করা হয় ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্যও। সকাল ১০টার চতুর্থ ও পৌনে ১১টায় বায়তুল মোকাররমে পঞ্চম ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বায়তুল মোকাররম ছাড়াও দেশের সব মসজিদে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দোয়া করা হয়। এদিকে দেশের সব মসজিদেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।