আজ শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদবাজির মামলায় কিশোর কুমার নামে একজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে কিশোর কুমার। পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৬ আগষ্ট লক্ষ্মীপুর কমফোর্ট ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কিশোর কুমারের নাম উল্লেখ করে আরো ৪জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দেয়।
পরে ২৭ আগষ্ট সদর থানা মামলাটি রুজি করে। বাদীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেয় জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নুরুল হুদা পাটওয়ারী,অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, মহসিন কবির মুরাদ,জহিরুল ইসলাম, মঞ্জুর আহমেদ,রাজু পাটওয়ারী,মোরশেদ আলম শিপন ও মাহাবুবুর রহমান মিশন। অপরদিকে বিবাদীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক হোসেন বাবর ও অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ ভূইঁয়া মান্না প্রমুখ।
বাদীর আইনজীবি মহসিন কবির মুরাদ জানান, চাঁদাবাজির মামলায় কিশোর কুমারের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে উভয়পক্ষের শুনানী শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কিশোর কুমার দত্তের নেতৃত্বে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কমফোর্ট ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। এর আগে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনভাগে ১৫ হাজার টাকা চাঁদাও নেয়। ১৩ আগষ্ট বিকেলে কিশোর কুমার দত্তের নেতৃত্বে ৫জনের একদল চাঁদাবাজ দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা চাঁদার জন্য প্রতিষ্ঠানে যায়। এসময় দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধুমকি দেয়। এক পর্যায়ে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয় তারা।
এছাড়া সাংবাদিকদের নাম বিক্রি করে জেলা শহরে ও বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছে এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে সদর থানা জিডি ও বিভিন্ন অফিসে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিশোর কুমার দত্ত নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দিলীপ কুমার দত্তের ছেলে।