Warning: Creating default object from empty value in /home8/bdbanglanews24/public_html/wp-content/themes/bdbangla-wp/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
bdbanglanews24.com | নিঝুমদ্বীপে পুকুরে মিলল ৫০টি ‘ইলিশ’ | bdbanglanews24.com নিঝুমদ্বীপে পুকুরে মিলল ৫০টি ‘ইলিশ’ | bdbanglanews24.com

আজ শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

Logo
সংবাদ শিরোনাম:
নিঝুমদ্বীপে পুকুরে মিলল ৫০টি ‘ইলিশ’

নিঝুমদ্বীপে পুকুরে মিলল ৫০টি ‘ইলিশ’

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপে একটি পুকুরে বিভিন্ন সাইজের ৫০টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। গুচ্ছগ্রামের একটি পুকুরে অন্যান মাছের সাথে ইলিশ মাছগুলো পাওয়া যায়। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৎস্য গবেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন সাগর-নদী তীরবর্তী এলাকার পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আপসার দিনাজ জানান, গত সপ্তাহে নিঝুমদ্বীপের ৩ নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর গুচ্ছগ্রাম’ ৫ একর দৈর্ঘ্যরে পুকুরটি সেচ দেওয়ার উদ্দ্যেশে পানি সেচের মেশিন বসানো হয়। শুক্রবার বিকেলে পানি কিছুটা কমে আসলে তাতে জাল ফেলা হয়। কিছুক্ষণ পর জাল উপরে নিয়ে আসলে তাতে অন্য মাছের সাথে বিভিন্ন সাইজের ৫০টি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। গুচ্ছগ্রামটিতে ৪০টি পরিবারের বসবাস করে।

গুচ্ছগ্রামের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পূর্ব দিকে মেঘনা নদী অবস্থিত। বর্ষা মৌসুমে বা বন্যার’মত প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় প্রবল জোয়ারের কয়েক ফুট পানিতে প্লাবিত হয় গুচ্ছগ্রামটি। পুকুরটির ইজারাধার আবদুল মান্নান বলেন, পুকুরটি মূলত যুগান্তর গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত ৪০টি পরিবারের। তিনি তাদের কাছ থেকে পুকুরটি ইজারা নিয়েছেন। গত এক সপ্তাহ আগে ওই পুকুরটির মাছ ধরার জন্য পানি সেচ দেওয়ার জন্য মেশিন বসান তিনি।

সেচ অবস্থায় পানি কিছুটা কমলে শুক্রবার বিকেলে বেড় জাল ফেলে কিছু মাছ ধরা হয়। জেলেরা জাল উপরে তুললে তাতে ৪০-৫০ টি ইলিশ মাছ উঠে আসে। যেগুলোর মধ্যে ছোটগুলোর ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম এবং বড়গুলো ৪০০থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত। কিছু মাছ নিজেদের খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে এবং বাকিগুলো বিক্রি করা হয়েছে। পুকুরের পানির সেচ শেষ হতে আরও ৩-৪ দিন লাগতে পারে। পানি সেচ শেষ হলে এ পুকুরটিতে আরও ইলিশ মাছ পাওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আফছার উদ্দিন বলেন, পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেছে এমন খবরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থলে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে গত বছর ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে অতিরিক্ত জোয়ার দেখা দেয়। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে ও নদীতে স্রোত থাকায় নিঝুমদ্বীপের প্রায় সব গ্রামের পুকুর ও দীঘি পানিতে প্লাবিত হয়। ওই সময় পুকুরটিতে ইলিশের পোনা প্রবেশ করেছে। যা গত কয়েক মাসে বড় হয়।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মৎস ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র তীরবর্তী পুকুরে জোয়ারের পানির সাথে ইলিশ মাছ প্রবেশ করা স্বাভাবিক বিষয়। তবে হাতিয়ার পুকুরে পাওয়া মাছগুলো ইলিশ কিনা তা না দেখে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না। কারন ইলিশ মাছের মত দেখতে চাপিলা বা ইলিশের অন্য প্রজাতির মাছ রয়েছে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন সম্ভব হলে পুকুরে ইলিশ মাছ বেড়ে উঠা সম্ভব।

এবিষয়ে নানাবিধ গবেষণা চলছে।’ হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল দাস জানান, এর আগেও হাতিয়ার মেঘনা নদীর পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায়ও পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লবণাক্ত ছাড়াও মিঠা পানিতেও ইলিশ মাছ বেঁচে থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইলিশ মাছের মত দেখতে ‘সার্ডিন ও চৌক্কা’ প্রজাতির দু’টি মাছ রয়েছে।


© স্বত্ব ২০২০ | About-US | Privacy-PolicyContact